আমার ইফতার!

ঈশ্বরের তৃষ্ণা মেটাতে শুটকির মত শুকাতে
দিয়েছি আমার অসহায় ক্ষুধার্ত পেট,
এই পাকস্থলী শুকিয়ে শিমুল তুলার মত মৃত্যুর
নগ্ন মিছিলে উড়ে যাক
তবুও ঈশ্বরের পরান ভিজুক আমার ভুখা যন্ত্রণায়;
দুর্ভিক্ষের উনুনে জ্বালিয়ে আমার পেটের আগুন
বেহেস্তী খাবার তৈরির আয়োজন হোক ধর্মতলায়।
তুমি ক্ষুধাতুর শৈল্পিক চাপে তৈরি করছো পিয়াজু
আলুরচপ, বেগুনী, বুরিন্দা, চিকেন কাবাব, খিচুড়ি;
তৃপ্তির ঢেকুর তুলতে ডুব দিচ্ছো রুহআবজার শাওয়ারের নীচে
অথচ, ফ্রিজের ঠাণ্ডা পানিতেও কখনো ভেজানো হয় না আমার অভিমানী ইসুবগুল।
বরাবরি আমার সব কিছু এলোমেলো হুলুস্থল
আজান শেষেও একফোঁটা জল নামছে না গলায়।
তুমি স্বজনের পাশে বসে কতো যত্ন করে, কতকিছু
সাজিয়ে বসে থাকো-
কতো জনের কতো খবরদারি, নজরদারী চলে;
অথচ, আমার প্লেটে জোটে না এক মুঠো পান্তাভাত আর পোড়া লঙ্কা
তবুও তো আমার নেই আড়ম্বর,
কোন তাড়া নেই নেই কোন বাড়াবাড়ি।

You may also like...