আমরা কিভাবে কোনো কিছু মনে রাখি!

স্মৃতি বা মেমোরি নিয়ে আমাদের সবারই মনে কম বেশি প্রশ্ন জেগে থাকে। আমরা কোনো কিছু কিভাবে মনে রাখি বা কিছু ভুলতে চাইলেও কিভাবে সহজেই ভুলতে পারিনা। আবার অনেক কিছু আছে যা চাইলেও বেশিক্ষণ মনে রাখতে পারিনা। এরকম আরো নানাবিধ প্রশ্ন আমাদের মাথায় অহরহ এসে থাকে। আজ আমরা কিছু প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায় কিনা সেটাই দেখব।

এটা আমরা সবাই জানি যে কোনো কিছু মনে রাখা, দরকারের সময় সেটা ব্যবহার করা এই পুরো ব্যাপারগুলিই আমাদের মস্তিষ্কে ঘটে থাকে। খুব অদ্ভুত এবং জটিল উপায়ে মস্তিষ্ক এই কাজগুলো সম্পাদন করে থাকে।

মেমোরি কি?

মেমোরি বা স্মৃতি আসলে কি?  স্মৃতি হচ্ছে আমাদের মস্তিষ্কের সবচেয়ে জটিল প্রক্রিয়া। আমাদের মস্তিষ্কে কোনো তথ্য সংরক্ষণ এবং পরবর্তীতে সেটা পুনরুদ্ধার এর পুরো প্রক্রিয়া কে স্মৃতি বা মেমোরি বলা হয়। সমাজে স্বাভাবিকভাবে টিকে থাকতে হলে একজন মানুষের জন্য তার মস্তিষ্কের তথ্য সংরক্ষণ এবং পুনরুদ্ধারে সক্ষম হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিভাবে এই পুরো প্রক্রিয়া আমাদের মস্তিষ্কে ঘটে থাকে আমরা সেটিই আলোচনা করব ধাপে ধাপে।

প্রথমেই আসি আমাদের মেমোরি কিভাবে কাজ করে?

বেশিরভাগ মানুষই মেমোরি বলতে যা তার নিজের বর্তমানে স্মৃতিতে আছে সেটাকেই বোঝে। অনেক সময় শোনা যায়, অমুক বা তমুক ব্যক্তি তার স্মৃতি হারিয়ে ফেলেছেন। টেকনিক্যালি হিসেব করলে এটি একটি ভুল কথা। আমাদের শরীরের অন্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মত মেমোরির শারীরিক অস্তিত্ব নেই। বরং মেমোরি হল কোনো কিছু মনে রাখার একটা ধারণা ।

খুব সহজ কথায় বলা যায় স্মৃতিগুলো আমাদের মস্তিষ্কের নিউরণের সংযোগ বিন্দুগুলোতে অণুবীক্ষণিক রাসায়নিক পরিবর্তন হিসেবে সংরক্ষিত হয়।

প্রশ্ন আসতে পারে নিউরণ আবার কি?

নিউরণ বা স্নায়ুকোষ হল আমাদের মস্তিষ্কের কোষ। এটি এক বিশেষ প্রকারের কোষ যা স্নায়ু থেকে সংকেত প্রেরণ করে। প্রতিটি স্নায়ুকোষের দুইটি অংশ থাকেঃ ১) কোষদেহ  ২) প্রলম্বিত অংশ। একজন মানুষের মস্তিষ্কে আনুমানিক ১০০ বিলিয়ন নিউরণ থাকে। প্রতিটা নিউরণ আনুমানিক ১০০০০ অন্য নিউরণের সাথে সংযুক্ত থাকে। কিছু গবেষণামতে আমাদের মস্তিষ্কে মোট প্রায় ১০০ ট্রিলিয়ন এরকম কানেকশান আছে।

নিউরণ

নিউরণ এর কাজের ক্ষেত্রকে বলা হয় স্নায়ুতন্ত্র। এই স্নায়ুতন্ত্র নিউরণ এর সাহায্য দেহের বাহ্যিক এবং অভ্যন্তরীণ উদ্দীপনায় সাড়া দেয় এবং একই সাথে বিভিন্ন দৈহিক ও শারীরবৃত্তিক কাজের সামঞ্জস্য রক্ষা করার মাধ্যমে দেহকে পরিচালিত করে। এক কথায় বলা যায় স্নায়ুতন্ত্র হল পুরো সিস্টেমটা আর নিউরণ হল সেই সিস্টেমের কর্মী। আর এই সিস্টেমের মাধ্যমেই নিউরণ আমাদের মস্তিষ্কে সব তথ্য পৌছায় এবং আমাদের দেহকে ও বিভিন্নভাবে সংকেত প্রেরণের মাধ্যমে সচল রাখে।

যেমন, একটা উদাহরণ দেয়া যাক। হঠাত কারো ইচ্ছে হল সে একটু হাঁটবে। এখন মস্তিষ্ক সেটা জানার পর আমাদের স্নায়ুতন্ত্রের মাধ্যমে পায়ে সিগন্যাল পাঠায় হাটার কাজটি সম্পাদন করার জন্য। এখন কারো যদি সেই স্নায়ুতন্ত্রে কোনো সমস্যা দেখা দেয় তাহলে মস্তিষ্ক হাটতে যাওয়ার সিগন্যাল টি পায়ে পৌছাতে পারবে না।যার ফলে কেউ চাইলেও তখন হাটতে পারবে না। প্যারালাইসিস আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে এটা খুব ভালো বোঝা যায়। প্যারালাইসিস এর প্রধান কারণ ই হচ্ছে কারো স্নায়ুতন্ত্র অকেজো হয়ে যাওয়া। প্যারালাইসিস এ আক্রান্ত রোগীদের মাঝে যে সমস্যা গুলো উল্লেখযোগ্য তা হল- ব্রেইন স্ট্রোক, স্পাইনাল কর্ড(মেরুদণ্ড) ইনজুরি, নার্ভ ইনজুরি, বটুলিজম যা এক ধরনের বিষক্রিয়া, মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস। তাছাড়া মাংসপেশির রোগ মাসকুলার ডেসট্রপি হলেও প্যারালাইসিস হয়ে থাকে।

যাই হোক, বিষয়বস্তুতে ফিরে আসি। আমরা স্নায়ুতন্ত্র সম্পর্কে সংক্ষেপে জানলাম। এবার আসি নিউরণ স্নায়ুতন্ত্রে কিভাবে কাজ করে!

তিন ধরনের নিউরণ আছে আমাদের মস্তিষ্কে যারা স্নায়ুতন্ত্রের সকল তথ্য স্থানান্তর এর জন্য দায়ী।

. সেনসরি বা সংবেদী নিউরণঃ এরা রিসেপ্টর বা গ্রাহক কোষ থেকে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে উদ্দীপনা বহন করে নিয়ে যায়। সেনসরি নিউরোন বা স্নায়ুকোষ দিয়ে এরা তৈরি বলে এদের সেনসরি নার্ভ বা সংজ্ঞাবহ স্নায়ুও বলা হয়। দর্শন অনুভূতির জন্য অপটিক নার্ভ, ঘ্রাণের জন্য অলফ্যাক্টরি নার্ভ এবং শ্রবণের জন্য অডিটরি নার্ভ এই শ্রেণিভূক্ত ।

. ইন্টারকানেক্টিং নিউরণঃ এরা স্থানান্তর স্টেশান এর মত কাজ করে। এরা পুরো স্নায়ুতন্ত্রে তথ্য স্থানান্তর করে। এবং এরা মোটর স্নায়ুতন্ত্রের সাথে সংযুক্ত। যেমন অনেক সময় আমাদের গায়ে কেউ হাত বুলালে আমরা সরে যাই না কারণ আমরা জানি এটা বিপদজনক নয় । কিন্তু কেউ যদি আমাদের মারতে আসে আমরা সরে যাই, নিজেকে বাচানোর চেষ্টা করি। এটা ইন্টারকানেক্টিং স্নায়ুর কাজ। বাহিরের কোনো এক্টিভিটি বিপদজনক কি না এর উপত ভিত্তি করে এই সিদ্ধান্ত সে নিতে পারে।

. মোটর নিউরণঃ মোটর নিউরণের কাজ হল আমাদের পেশীতে তথ্য পাঠানো এবং কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে সংকেত প্রেরণ করা। যেমন উপরোউল্লিখিত উদাহরণে কেউ আমাদের মারতে সলে আমরা প্রথমে সরে যাই, এরপর আবার মারতে আসলে কিংবা হাতে কোনো অস্ত্র থাকলে তখন আমরাও হাত দিয়ে বা অন্য কোনোভাবে সেই আক্রমণ ঠেকানোর চেষ্টা করি। এই কাজ টা মূলত মোটর নিউরণ আমাদের দিয়ে করায়।

সেনসরি, মোটর এবং ইন্টারকানেক্টিং স্নায়ুকোষ

এবার আসি স্মৃতি বা মেমোরি তৈরি হবার প্রক্রিয়া টা কি?

মেমোরি তৈরি হবার প্রক্রিয়াটি কয়েক ভাগে বিভক্ত। এই প্রক্রিয়া শুরুর প্রথম ধাপ টি হল এনকোডিং। এটি কিভাবে কাজ করে জেনে নেয়া যাক।

এনকোডিংঃ এটি কোনো কিছু উপলব্ধির সাথে সাথে শুরু হয়। যেমন, একটি উদাহরণ দেয়া যাক। ধরি কেউ একজন তার পছন্দের কোনো মানুষ এর সাথে দেখা করল। তার চোখ তখন সেই মানুষটা তার চিন্তার তুলনায় কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ সেটা মেলাবে। আর শ্রবণ ইন্দ্রিয় তার কণ্ঠস্বর টা নিবে। অলফ্যাক্টরী স্নায়ু বা ঘ্রাণ ইন্দ্রিয় তার গন্ধ টা নিবে । এই সবগুলো জিনিস মিলিয়ে সেই মানুষের সম্পর্কে একটা ধারণা তৈরি হবে স্নায়ুতন্ত্রে। এই ইন্দ্রিয়গুলো আলাদাভাবে এই প্রতিটা অনুভূতি আমাদের মস্তিষ্কের হিপ্পোক্যাম্পাস(Hippocampus) নামক এক জায়গায় পাঠাবে। এই হিপ্পোক্যাম্পাস এই সবগুলো অনুভূতি কে এক সাথে করবে পুরো জিনিস টা সম্পর্কে একটা ধারণা তৈরির জন্য।

আমাদের মস্তিষ্কের সবগুলো স্নায়ু

স্নায়ুবিজ্ঞানীদের মতে, মস্তিষ্কে বিভিন্ন সংবেদী অঙ্গের পাঠানো ইনপুট কে বিশ্লেষণ করে সেটি কতটা মূল্যবান সংরক্ষণ করার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেয় হিপ্পোক্যাম্পাস এবং ফ্রন্টাল কর্টেক্স মিলে। যদি তাদের বিশ্লেষণে সেটি মূল্যবান মনে হয় তাহলে সেটাকে মস্তিষ্কে দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতি বা long-term memory হিসেবে সংরক্ষণ করা হয়।

হিপ্পোক্যাম্পাস এবং ফ্রন্টাল কর্টেক্স

স্নায়ুতন্ত্র থেকে নিউরণের সাহায্যেই আমাদের কোনো বস্তু বা বিষয় সম্পর্কিত ধারণা যা আমরা মনে রাখতে চাই তা সংকেতাকারে মস্তিষ্কে যায় এবং সংরক্ষিত থাকে। তথ্য স্থানান্তর এর পুরো প্রক্রিয়াটি নিউরণ করে থাকে।নিউরণ একটি তড়িৎ রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এসব তথ্য স্নায়ুতন্ত্রের এক জায়গা হতে অন্য জায়গায় স্থানান্তর করে থাকে।

প্রতিটি স্নায়ু একটির সাথে অন্যটি যে বিন্দুতে মিলিত থাকে তাকে বলে সিন্যাপস।এই সিন্যাপসগুলো তথ্য সম্বলিত সেই তড়িৎ স্পন্দন কে স্থানান্তরিত করে এবং নিউরোট্রান্সমিটার নামক এক রাসায়নিক বার্তাবাহক কে মুলত করে দেয়। প্রতিটি স্নায়ুকোষে অন্তত ১০০০ এরকম সংযোগ বিন্দু থাকে। এবং একজন মানুষের মস্তিষ্কে গড়ে ১ ট্রিলিয়ন সিন্যাপস থাকে।এবং মস্তিষ্কের এই সংযোগবিন্দু গুলো স্থির নয়। এটা প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হতে থাকে।নতুন স্মৃতি তৈরির সাথে সাথে নতুন সিন্যাপস গঠিত হয়।একবার স্মৃতি সংকেত আকারে তৈরি হয়ে গেলে সেটা long-term memory বা the short-term memory তে স্থানান্তরিত হয়ে যায়।এটা মেমোরি সংরক্ষণের একটা ধাপ।

মেমোরি সংরক্ষণঃ মেমোরি তো তৈরি হল। এবার সংরক্ষিত হবে কিভাবে! আমাদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তই সমান গুরুত্বপূর্ণ নয়। একটি মস্তিষ্কের প্রতিটি মুহূর্তই সংরক্ষণের দরকার পড়েনা। কিছু মেমোরি খুব অল্প সময়ের জন্য দরকার পড়ে আর কিছু মেমোরি আমরা সারাজীবন এর জন্য সংরক্ষণ করে রাখতে চাই। আমাদের মস্তিষ্কের বিভিন্ন ধাপ ফিল্টার বা ছাকনির মত কাজ করে এবং আমাদের জীবনের তথ্যের সমুদ্র থেকে বিশ্লেষণ করে যা আমাদের দরকারে লাগতে পারে তা ই সংরক্ষণ করে।

আমাদের মস্তিষ্কে এই তথ্য সংরক্ষণের দুটি প্রক্রিয়া আছেঃ

১) short -term memory : কোনো একটা তথ্য মস্তিষ্কে পৌছানোর পর সেটি সংকেত আকারে এখানে পাঠানো হয়। এর ধারণ ক্ষমতা সীমিত আকারের। এটি একসাথে ৭ টির মত তথ্য রাখতে পারে ২০/৩০ সেকন্ড এর জন্য।এখানে পাঠানোর প্রক্রিয়া শেষ হলে দুটি ঘটনা ঘটতে পারে। তথ্য টি মুছে যেতে পারে কিংবা long -term memory তে স্থানান্তরিত হতে পারে।

ক্ষণস্থায়ী স্মৃতি বা Short-term memory

) long -term memory : এই মেমোরির তথ্য ধারণ ক্ষমতা অসীম এবং এটি দীর্ঘ সময়ের জন্য এই তথ্য রাখতে পারে। long -term memory আবার দুই ধরনের আছে:

Unconscious memory:   এই মেমোরি আমাদের অবচেতন মনে তৈরি হয়। আমরা তেমন অনুভব করিনা। যেমন জুতার ফিতে বাঁধা শেখা। অথবা গাড়ি চালানো শেখা। তবে এই মেমোরিগুলো খুব ধীরগতিতে আমাদের মস্তিষ্কে পৌছায় কিন্তু এই মেমোরিগুলো বদলানো বা হারানোর সম্ভাবনা খুব কম থাকে। এক কথায় আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের বেশিরভাগ অভ্যাস ই Unconscious memory।

Conscious memory: এটা আমাদের সচেতন স্মৃতি যা আমরা মনে রাখতে চাই। মনে রাখার জন্য অনেক সময় বারবার সেটা দেখি বা করি। এই মেমোরি খুব দ্রুত সংরক্ষিত হয় আবার খুব দ্রুত হারিয়ে ও যায়। যেমনঃ পরীক্ষার আগের কয়েকদিনের পড়াশোনা কিংবা কারো নাম বা তারিখ ইত্যাদি। তবে অনেকবার পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে Conscious memory ও Unconscious memory তে রূপান্তরিত হতে পারে।

Long term and short term memory formation

মেমোরি পুনরুদ্ধারঃ মেমোরি পুনরুদ্ধার বলতে আমরা বুঝি সাধারণত যে মেমোরি রাখা হয়েছে সেটা ফেরত পাওয়া। long -term memory থেকে তথ্য ফেরত পাওয়ার ৪ টি মৌলিক উপায় আছেঃ

Recall: এটি হল কোনো সূত্র ছাড়া মস্তিষ্ক থেকে স্মৃতি মনে করতে পারা। যেমন কোনো প্রশ্নের শূন্যস্থান পূরণ করতে বলা হলে কোনো সূত্র ছাড়াই আমরা কাছাকাছি সম্পর্কিত শব্দ মনে করতে পারি।

Recollection: এটা কিছুটা পুনর্গঠনের মাধ্যমে মেমোরি পুনরুদ্ধার কে বুঝায়। যেমন: আমাদের হঠাত করে একটা বিষয়ের উপর রচনা লিখতে দেয়া হলে আমরা সেই একই রচনা আগে কোথাও না দেখলে ও কাছাকাছি বিষয়গুলো এক করে কিছু একটা অন্তত লিখতে পারি। এর কারণ আমাদের স্মৃতিতে যদি উক্ত বিষয়ে আংশিক কোনো তথ্য ও থেকে থাকে তাহলে সেই আংশিক তথ্যগুলো দিয়ে আমাদের মস্তিষ্ক পুনর্গঠিত একটা ধারণা তৈরি করে নেয়।

Recognition:  এটা হল হুবহু একটা তথ্য যদি আমরা আগে দেখে থাকি তাহলে পরবর্তীতে সেটা দেখে মনে করতে পারা। যেমন, কোনো সূত্র। আগে পড়া থাকলে সেটা যদি সংরক্ষিত থাকে মস্তিষ্কে তাহলে দেখে সাথে সাথেই আমরা সেই সূত্র মনে করতে পারি।

Relearning: এটা হল একটা পুনরাবৃত্তি প্রক্রিয়া। যেমন, পরীক্ষার জন্য পড়াশোনার কথাই ধরা যাক । আমরা যখন একবার পড়ি তখন পড়া শেষে অনেক কিছুই ভুলে যাই। দ্বিতীয়বার পড়লে আগের চেয়ে কিছু বেশি তথ্য মনে রাখতে পারি। এভাবে যতবার পরা হবে আমাদের মস্তিষ্কে সেটা তত স্থায়ীভাবে সংরক্ষিত হবে। এবং প্রতিবার পড়ার পরই কিন্তু আমাদের মস্তিষ্কে এটার তথ্যগুলো পুনর্বিন্যস্ত হয়। এজন্য প্রথমবার যতটা কঠিন মনে হয় মনে রাখতে গেলে দ্বিতীয়বার আগের চেয়ে সহজ হয়ে যায় ব্যাপার টা।

বিজ্ঞানীরা মস্তিষ্কের এই জটিল ব্যাপারগুলো আরো ভালোভাবে বোঝার জন্য নিরলস গবেষণা করে যাচ্ছেন। হয়ত এমন ও দিন আসতে পারে আমরা আমাদের long -term memory এবং short term memory কে নিয়ন্ত্রণ করতে পারব। ইচ্ছেমত কিছু চাইলে মনে রাখলাম কিংবা না চাইলে ভুলে গেলাম। সেই দিনের প্রত্যাশায় থেকে বিদায়। সাথে থাকুন।

ধন্যবাদ

ইভা

 

 

 

 

You may also like...