প্রায়ই অন্যের সাথে দুর্ব্যবহার করেন?

প্রতি বছর যেভাবে পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে, তার সাথে সাথে আমাদের মন মেজাজও খারাপ হচ্ছে।

আপনি শুনলে অবাক হবেন যে অতিরিক্ত গরম মানুষের মনের গতিপথ বদলে দিতে পারে। মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, গরমের জন্য মানুষের মেজাজ ক্রমশ তার চরিত্র বদলাচ্ছে। অতিরিক্ত গরম যে কেবল আপনার মনকে প্রভাবিত করবে তা নয়, তা আপনাকে এমনকি অসামাজিকও করে তুলতে পারে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ায় লেহাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক লিউবা বেকিং জানাচ্ছেন আমাদের প্রত্যেকের ওপর গরমের প্রভাব আলাদা। সেভাবেই আমরা আলাদা আলাদাভাবে গরমের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিই।

আমাদের চারপাশের পরিবেশ মনস্তাত্ত্বিক জগতের ওপর যে ছায়া ফেলে তারই বহিঃপ্রকাশ আমাদের ব্যবহার। পরিবেশের পরিবর্তন হলে, স্বাভাবিকভাবেই মনোজগতেও তার আশ্চর্য প্রতিফলন দেখা যায়।

অতিরিক্ত গরমে আমরা অনেকেই মানিয়ে নিতে পারিনা, বিরক্তি প্রকাশ করি, শারীরিক সমস্যাও শুরু হয়। তেমনই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকায় অন্যের প্রতি মনোযোগ দেওয়ার অবকাশও থাকে না। তখন আমরা অসামাজিক হতে থাকি।

বেশ কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবকের ওপর পরীক্ষানিরীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, তাদের মধ্যে মাত্র ৩৪ শতাংশই গরমে কাজ করতে ইচ্ছুক। বাকি ৭৬ শতাংশই কাজ করতে চাইছেন না। তাই অন্যের সাথে রূড় আচরণের জন্য যদি আপনার দুর্নাম থাকে, তাহলে মনখারাপ করবেন না। এজন্য অতিরিক্ত গরমই দায়ী। আবার, কাউকে খারাপ লাগাটাও নিতান্তই নিজেরই মানসিক ব্যাপার। অল্পতেই মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া, উচ্চবাচ্য করা, কাউকে সহ্য করতে না পারার গুটিকয়েক চিন্তাধারা ব্যধির ন্যায় মস্তিষ্কের সুস্হ্য কার্যকারিতাকে নষ্ট করে ফেলে। এতে ক্ষতি উভয়ের চেয়ে নিজেরই বেশী হয়। হয়তো তার মতে তারটাই ঠিক। এ অবস্থায় নিজেকে সঠিক মাপকাঠিতে নির্নিত করা সমীহিন। হয়তোবা সে ভুল করছে।

এ অবস্থায় নিজেকে মনোবিজ্ঞানীর শরণাপন্ন হয়ে পরমার্শ গ্রহনই একমাত্র উপযুক্ত পন্হা। ধন্যবাদ।

You may also like...